বগুড়ার শিবগঞ্জে নিখোঁজের ৭২ ঘন্টা পর কেজি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র রনির (৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা চারটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ির পাশের একটি সেফটিক ট্যাংকি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
রনি শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের ছাতুয়া সরকার পাড়া গ্রামের রায়হান সরকারের ছেলে ও ভূগোইল কেজি স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্র।
আটককৃতরা হলেন, ছাতুয়া গ্রামের ধলু মিয়ার ছেলে জামিল, বাবু মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম, মমতাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম ও ফরিদ উদ্দিনের ছেলে আবু তালেব।
শিবগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: কামরুজ্জামান জানান, গত বুধবার হঠাৎ করে বিকেল থেকে নিখোঁজ হয় শিশু রনি। পরিবারের লোকজন আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও তার কোনো সন্ধান পায়নি। পরে গ্রামবাসী সন্দেহজনকভাবে একই গ্রামের তিনজনকে আটক করে। তাদের মধ্যে একজন সেফটি ট্যাংকের মধ্যে লাশ থাকার কথা স্বীকার করলে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ির পাশে একটি সেফটিক ট্যাংকি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
লাশটি উদ্ধারের পর উত্তেজিত জনতা ওই অভিযুক্তদের চারটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় জনতা ওই তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/২৩ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল