চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মন্ডলের বিরুদ্ধে পৌর এলাকার দক্ষিণ সাঁকোপাড়া মহল্লার এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুনীল মন্ডল।
গত শুক্রবার নাচোল থানায় দাখিলকৃত অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর বান্ধবীকে নিয়ে ওই গৃহবধূ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করার জন্য অফিস চলাকালীন সময়ে সুনীল মন্ডলের নিকট যান। এসময় ওই কর্মকর্তা কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে তাদেরকে দীর্ঘ সময় অফিসে বসিয়ে রাখেন। এতে করে বিরক্ত হয়ে গৃহবধূর ওই বান্ধবী নিজ বাসায় চলে যান। পরে ওই গৃহবধূকে চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ণ করা এবং খোশগল্পের মধ্য দিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। গৃহবধূ অফিস থেকে বের হওয়ার সময় মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল কৌশলে ওই গৃহবধূর মোবাইল নম্বর নেন। এরপর থেকে মোবাইলে ওই নারীর সাথে একাধিকবার কথোপকথনের মধ্য দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তার বাড়িতে দাওয়াত চেয়ে নেন ওই কর্মকর্তা।
এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে ফেরার সময় গৃহবধূর ইচ্ছার বিরুদ্ধে হাত ধরে কর্মমর্দন করার অজুহাতে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন সুনীল মন্ডল। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে নাচোল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই নারীর আমন্ত্রণে তার বাড়িতে তিনি গিয়েছিলেন। ওই নারী তাকে কোটিপতির মেয়ে দাবি করে তাকে সেখানে ডেকেছিল। কিন্তু আসলেই সে দরিদ্র মেয়ে। তাই শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে এখন তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মেয়েটি ভাল না এবং অভিযোগটি মিথ্যা বলেও দাবি করেন তিনি। তবে সংবাদটি না করার অনুরোধ করেন।
এ ঘটনায় নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ ফাছির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নাচোল পৌর এলাকার দক্ষিণ সাঁকোপাড়ার এক গৃহবধূ এবং মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মন্ডলের পক্ষ থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে মৎস্য কর্মকর্তার ওই নারীর বাড়িতে যাওয়া ঠিক হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০২ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব