পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষুব্ধ স্বজনদের অভিযোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে জরুরি চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ জানালেও তিনি দেরিতে আসায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপালের পাশের মহল্লা ইসলাম বাগ এলাকার আব্দুস সাত্তার (৫৮) হৃদ রোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে ওই হাসপাতালের একমাত্র হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোশারফ হোসেনকে ফোন করা হয়। এসময় তিনি হাসপাতালের পাশেই একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ছিলেন। ফোন পেয়েও তিনি নিজে না গিয়ে রোগীকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। তিনি প্রায় আধাঘন্টা পরে জাহাঙ্গীর আলম ঝুনু নামে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির বিশেষ অনুরোধে হাসপাতালে আসেন। ততক্ষণে রোগীর মৃত্যু ঘটে। এসময় রোগীর ক্ষুব্ধ স্বজনরা নার্সদের ডিউটি রুমের একটি জানালা ভাঙচুর করে। পরে সিভিল সার্জন এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আনোয়ার হোসেন রিপন জানান, হাসপাতালের পাশে ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তারকে আসার জন্য ( রোগীকে দেখার জন্য) বারবার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি না গিয়ে রোগীর অবস্থা তো খুব খারাপ জানিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে আসার কথা বলেন। একটু আগে এলে হয়তো আমার বাবাকে বাঁচানো যেতেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসক মোশাররফ হোসেন ওই বেসরকারি ক্লিনিকে রোগীকে নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, জাহাঙ্গীর আলম ঝুনু নামে এক জনের অনুরোধে হাসপাতাল যাই। কিন্তু আমি গিয়ে দেখি রোগী মারা গেছেন।
সিভিল সার্জন পীতাম্বর রায় বলেন, নিয়মানুযায়ী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে জরুরি ফোন করা হলে হাসপাতালে আসার কথা। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোশাররফ হোসেন পাশের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ছিলেন। রোগীর অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে ফোন করা হয়েছিল এবং তিনি এসে রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার