সিরাজগঞ্জে আটককৃত নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) ৪ নারী সদস্য ও কেন্দ্রীয় শীর্ষ ৫ নেতার উপস্থিতিতে চার জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জাফরোল হাসানের আদালতে ৪ নারী জেএমবি এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ড. ইমান আলীর আদালতে জেএমবির শীর্ষ ৫ নেতাদের উপস্থিতিতে পৃথকভাবে এই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আটক জেএমবির সদস্যরা হলেন, জেএমবির প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল নুর, এহসার সদস্য নুরুজ্জামান আরিফ, গায়েবে এহসার সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ফারুক আহম্মেদ ও নুর ইসলাম সাগর, (জেএমবি) নারী সদস্য নাদিরা খাতুন তাবাজ্জুম (৩০), হাবিবা আক্তার মিশু (১৮), রুনা বেগম (১৯) ও রোমানা আক্তার (২১)।
২০১৬ সালের ২৩ জুলাই রাতে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মাছুমপুর মহল্লা থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই, ককটেল ও গ্রেনেড তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ জেএমবি’র ৪ নারী সদস্যকে আটক করে সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
অন্যদিকে, ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিমপাড়ের সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদে শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন থেকে জেএমবির এই ৫ শীর্ষ নেতাকে আটক করে র্যাব-১২ এর সদস্যরা। এসময় তাদের নিকট থেকে ৪৯টি প্রাইমারী ডেটোনেটর, ৪৫টি বোতাম টাইম সার্কিট, ১০ কেজি পাওয়ার জেল, বিভিন্ন প্রকার ১৫৫টি সার্কিট সহ বিপুল পরিমান জিহাদী বই ও বোমা তৈরীর সরাঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-১২ ও সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ দুটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সিরাজুল হক ও ইব্রাহিম খলিল ইমন জানান, আসামিদের উপস্থিতিতে চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ রেকর্ড করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০৩ জানুয়ারি, ২০১৬/হিমেল