বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন মলি খাতুন (২৪) নামে এক তরুণী। মঙ্গলবার দুপুরে মলি খাতুন ধুনট উপজেলার বিলচাপড়ি গ্রামে তার স্বামী শামীম আহম্মেদের (২৭) বাড়িতে অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।
ম্যারেজ রেজিস্ট্রার (কাজী) ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের হবিবর রহমানের মেয়ে মলি খাতুন ও ধুনট উপজেলার বিলচাপড়ি গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে শামীম আহম্মেদ বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে সম্মান শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। প্রায় ৬ বছর আগে সহপাঠির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৫ সালের ১৭ জুলাই ঢাকার তেজগাঁও থানার মনিপুরিপাড়া ২৭ নং ওয়ার্ডের কাজি অফিসে ৮ লাখ টাকা মোহরানা ধার্য করে মলি ও শামীম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন (রেজি: নং ২/১৫)।
বিয়ের বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যদের না জানানোর জন্য মলিকে চাপ দেন শামীম। এতে প্রায় ২ বছর বিয়ের বিষয়টি কাউকে অবগত করেনি মলি।
এরপর শামীমকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করে মলি। কিন্ত মলির কথায় রাজি না হয়ে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করতে থাকেন শামীম। এক পর্যায়ে গত ২৩ অক্টোবর থেকে মলির সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি শামীম। এ বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়। কিন্ত কোনো প্রকার সমঝোতা না হওয়ায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশনের সিদ্ধান্ত নেন মলি।
এদিকে, মলির উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন শামীম ও তার পরিবারের লোকজন। এ সময় শামীমের ঘরের বারান্দায় অবস্থান করছেন মলি।
মলি খাতুন বলেন, বিয়ের কথা গোপন রেখে স্বামী-স্ত্রীর মিলে ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করেছি। এখন আমাকে স্ত্রীর বলে অস্বীকার করছে। তাই আমি শামীমের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি। স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়া পর্যন্ত স্বামীর বাড়িতেই অনশন চালিয়ে যাব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামীমের বড় ভাই বাদশা মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব