কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের বাসভবনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কালো পোশাক পরা ডাকাতদল বাসার গেটের তালা ভেঙ্গে কৌশলে ঘরে ঢুকে অধ্যক্ষের স্ত্রীকে বেঁধে মারপিট করে আতংকের সৃষ্টি করে। পরে আলমারি ও সুকেচ এর ড্রয়ার থেকে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও ১০ ভরির মতো স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয় তারা। এসময় চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে ডাকাতদল দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। নিয়ে যায়। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে যাদুরচর ডিগ্রিকলেজ সংলগ্ন বাস ভবনে।
অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই রাতে আমি বাসায় ছিলাম না। কালো পোষাক পড়া ২০/২২ জনের মতো একটি ডাকাত দল ঘরে ঢুকেই বলে আমরা থানা থেকে এসেছি। এরপর আমার স্ত্রীকে বেঁধে মারপিট করে। পরে চাবি দিয়ে আলমারিসহ সব আসবাবপত্রের ড্রয়ার খুলে কলেজের ও আমার ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং ১০ ভরির মতো স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। আমার বাসার সঙ্গে রয়েছে বেসরকারি সংস্থা আশা’র অফিস কার্যালয়। ডাকাতরা আশার কর্মীদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিলেও অন্য কিছু নেয়নি। কেননা ১০/১২ মোটরসাইকেল ছিল তাও নেয়নি। এতে আমার সন্দেহ হয়েছে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুট করার জন্য এসেছিল তারা।’
অধ্যক্ষের স্ত্রী রীতা বেগম জানান, ডাকাতরা বলেছে, আমরা থানা থেকে এসেছি। বারবার জানতে চেয়েছে কলেজের কাগজপত্র কোথায়। কাগজপত্রের জন্য ঘরের সব কিছু তছনছ করেছে। কালো পোশাক ও মাফলার দিয়ে মুখ বাধার কারনে কাউকে চিনতে পারিনি। উল্লেখ্য যে, রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বোন জামাই হলেন ওই অধ্যক্ষ।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) রুহানী জানান, আমাদের কাছে মনে হয়েছে ডাকাতি তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। তাদের লক্ষ ছিল কলেজের কাগজপত্র নেয়া। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্তের পরই জানা যাবে আসল ঘটনা এবং কারা তা করেছে তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ ডিসেম্বর, ২০১৬/মাহবুব