কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজে পিয়ন (এমএলএসএস) পদে চাকরি করেন সরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। পাশাপাশি তিনি উপজেলা সাব-রেজিষ্টার কার্যালয়ে দলিল লেখক হিসেবে কাজ করেন। এ কারণে তিনি কোন দিনও প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন না। তবে অধ্যক্ষের যোগসাজসে তিনি প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতায় নিয়মিত উপস্থিতি স্বাক্ষর করে আসছেন দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিনে ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অভিযুক্ত পিয়নকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি।
প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় পিয়ন সরুজ্জামানের সঙ্গে। এসময় তিনি বলেন, চলতি মাসের ২ তারিখে আমি পিয়ন পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। তাই স্কুলে যাইনি। এর আগেও তো আপনি প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকেছেন অথচ সরকারি বেতনভাতা উত্তোলন করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ওটা প্রিন্সিপাল স্যারকে বলুন। আমার বেতনের অর্ধেকের বেশি টাকা প্রিন্সিপাল স্যার নিয়ে ওই সুযোগ দেয়া হয়েছে। এখানে আমি একা দোষী নয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বদিউজ্জামান বলেন, ‘না, পিয়ন সুরুজ্জামান পদত্যাগ করেননি। তবে তিনি প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বেশির ভাগ সময়ে এটা সত্য। এজন্য তাকে শোকজ করা হয়েছে।’ প্রতিষ্ঠানের অন্য সকল শিক্ষক তো বলছেন আপনি ওই পিয়ন অনুপস্থিতির সুযোগ দিয়েছেন এবং তার বেতনের টাকা আপনি গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘এটা মিথ্যা। আমি তার বেতনের টাকা নেইনি। এখন থেকে তাকে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এটা নিয়ে কোনো রিপোর্ট-টিপোর্ট করার দরকার নেই।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহালম পারভেজ বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ আমি এখনো পাইনি। তবে এটা সত্য হলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগ না পেলেও আমি সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার