কুমিল্লায় তিন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। নগরীর নবাব ফয়জুন্নেছা সরকাররি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তারা পরীক্ষা দিচ্ছেন। তিনজনের মধ্যে একজন ছাত্রী, অপর দুইজন ছাত্র। তারা সবাই শারিরীক ও দৃষ্টিশক্তিহীন প্রতিবন্ধী।
পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত দুই শিক্ষক জানান, তাদের চোখের আলো না থাকলেও মেধার আলোয় চমকে দিতে চান। শারিরীক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা দমাতে পারেনি ১০টি বছর। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড থেকে ওই ৩ শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাদের ইচ্ছে জ্ঞানের আলোয় সমাজে সাফল্যের আলো ছড়িয়ে দিতে। শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন কার্ণিজ ফাতেমা নগরীর মালেকা মমতাজ উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং মো. তফসির উল্লাহ ও মো. পারভেজ। তারা দুইজন নগরীর ভিক্টোরিয়া কলেজ হাইস্কুলের ছাত্র। পরীক্ষায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে তাদের চরম দারিদ্র্যতা আর শারীরিক প্রতিবন্ধীকতা বাধা হতে পারেনি। তাদের লক্ষ্য প্রতিবন্ধি হলেও এসএসসিতে অন্যদের সাথে পাল্লা দিয়ে তারাও ভাল ফলাফলের ব্যাপারে আশাবাদী।
পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, তিনজন শারিরীক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর সাথে একজন করে শ্রুতি লেখক রয়েছেন। নগরীর নবাব ফয়জুন্নেছা সরকাররি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তারা পরীক্ষা দিচ্ছেন। যেখানে দুই ক্লাস ছোট ওই শ্রুতি লেখকরা তাদের উত্তর শুনে শুনে খাতায় লিখছেন। পরীক্ষায় হলে দায়িত্বরত শিক্ষক সৈয়দ মোশারফ চৌধুরী বলেন, এই তিন শিক্ষার্থী শারিরীক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও তাদের মেধা ধারালো। আশা করি তারা ভাল করবে।
এব্যাপারে কুমিল্লা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মজিদ বলেন, চলতি বছর কুমিল্লা বোর্ডে মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭ শ ২৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তার মধ্যে ৩জন শারিরীক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। তবে যে কোন প্রতিবন্ধীদের জন্য দুই ক্লাস ছোট শ্রুতি লেখক দেওয়া হবে। এমনকি ২০ মিনিট সময় বেশি পাবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার