গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলা সদরে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান খান ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আলী খোকনের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে।
বুধবার রাত ৯ টার দিকে কাশিয়ানি উপজেলা সদরে রঞ্জনের চায়ের দোকানে এ হামলা ও সংঘর্ষের প্রথম ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলী খোকনের সমর্থক করম আলী সিকদারের নেতৃত্বে খাঁরহাট গ্রামে নয়টি বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছেন।
যাদের বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে তারা হলেন-ডাবলু মৃধা, লিয়াকত মৃধা, বাবলু মৃধা, মুরাদ মৃধা, পিকুল মৃধা, পান্নু সিকদার, নান্নু সিকদার, মনির সমাদ্দার ও হেমায়েত কাজীর বাড়ি।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় দির্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান খান ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আলী খোকনের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার রাত ৯ টার দিকে রঞ্জনের চায়ের দোকানে করম আলী সিকদারের লোক জন চা খাচ্ছিলেন। সে সময় বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান খানের সমর্থকরা মোঃ আলী খোকনের সমর্থকদের উপর হামলা চালালে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়।
এব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আলী খোকন মুঠোফোনে জানান যে তিনি এখন এলাকায় থাকেন না। তিনি ঢাকায় ব্যাবসা করছেন। তবে বুধবার তিনি কাশিয়ানি এসেছেন এবং হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছেন। তিনি আরো জানান যে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা সাজানো।
বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। মারাত্মক আহত রেজাউল সিকদার, ইনামুল সিকদার ও তুহিন খানকে প্রথমে কাশিয়ানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে সাবেক চেয়ারম্যান খোকন জানান।
কাশিয়ানি থানার পরিদর্শক তদন্ত মোঃ জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। লাভলু মৃধা, ডাবলু মৃধা ও মুরাদ মৃধার বাড়িতে ভাংচুর হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। তিনি আরো জানান কোন ককটেল বিস্ফোরণ হয়নি তবে পটকা ফোটার শব্দ শুনেছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান খানের সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।