বরিশাল নগরীর ভাটিখানা এলাকা থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়ার ১২ দিন পরও স্টুডিও ব্যবসায়ী দিপক বেপারীর (৩২) সন্ধান মেলেনি।
পরিবারের অভিযোগ, দিপকের সন্ধানে নগরীর কাউনিয়া থানা পুলিশের গাফেলতি রয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার পর দিপকের মুঠোফোন যার কাছে পাওয়া গেছে, তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে সন্দেহভাজন ২/১ জনের নাম পুলিশকে জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদের আটক কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। দিপকের স্ত্রী, মা-বাবা ও ভাই বৃহস্পতিবার বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তারা। মাত্র আড়াই মাস আগে দিপক বিয়ে করেছিল। স্বামীকে নিয়ে অজানা আশংকায় স্ত্রী স্বর্ণা সংবাদ সম্মেলনে অবিরাম কেঁদেছেন।
দিপকের ছোট ভাই সুজন বেপারী জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজ হওয়ার ৪দিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি কাশীপুর এলাকার রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে দিপকের ব্যক্তিগত মুঠোফোনটি উদ্ধার করে। রাজ্জাক পুলিশের কাছে দাবি করে সে একই এলাকার রিপন নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে মুঠোফোনটি কিনেছে। কাউনিয়া থানা পুলিশ উভয়কে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রাজ্জাক পুলিশকে জানায়, রিপন নির্দোষ, সে (রাজ্জাক) মুঠোফোনটি নতুন বাজার এলাকায় কুড়িয়ে পেয়েছিলো।
দিপক নিখোঁজের ঘটনায় সাধারন ডায়েরির তদন্ত করছেন কাউনিয়া থানার উপ পরিদর্শক মীর শহীদুল ইসলাম। পরিবারের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসআই মীর শহিদুল বলেন, দিপকের মুঠোফোনটি রাজ্জাক রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন। অসংলগ্ন তথ্য দেওয়ার পরও রাজ্জাককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ না করার কারণ জানতে চাইলে এসআই মীর শহীদুল ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে কথা বলতে হলে থানায় আসতে হবে’।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভাটিখানা বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় স্টুডিও ব্যবসায়ী দিপক ব্যাপারী। সে বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের দিলীপ বেপারীর ছেলে।