সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গরু চুরি নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। চোরের হামলায় নিহত হয়েছেন এক গৃহকর্তা। জনতার হাতে আটক আরেক চোরকে উদ্ধার করতে গিয়ে এলাকার লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন আরেক বৃদ্ধ। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশসহ শতাধিক ব্যক্তি। আজ শনিবার সকালে উপজেলার মোস্তফানগর গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান জানান, আজ শনিবার ভোররাতে উপজেলার মোস্তফানগর গ্রামের জিলু মিয়ার বাড়িতে একদল চোর হানা দেয়। চোরের দল গরু নিয়ে যাওয়ার সময় জিলু মিয়ার ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার করলে চোরের ছোড়া বল্লমের আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। জিলু মিয়ার চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে ধাওয়া দিয়ে সোনাই নামের এক চোরকে আটক করে সবাই।পরে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসতে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ মোস্তফানগর গ্রামে গেলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে পুলিশও গুলি ছুঁড়লে সংঘর্ষ বাধে। ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে মোস্তফাপুর গ্রামের মফিজ মিয়া পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুক মিয়ার চাচা। সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক আহত হন। আহতদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্যকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইজন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার