নাটোরের বড়াইগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়ম ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়া নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে বনপাড়া পৌর হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধারা এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী। খোরশেদ আলম, আবু বকর সিদ্দিক ও আব্দুল মান্নান বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সম্মেলনে বাদ পড়া ২৯ জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করা হয়। এতে মাত্র সাত জনকে তালিকাভূক্ত করা হয়। নিয়মানুযায়ী যে সব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভূক্ত করেছেন তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তর্ভূক্ত হবেন। কিন্তু তারা সবাই ভারতের জলঙ্গি সাহেব রামপুর ও গৌরবাগান ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং আবেদনের সঙ্গে সে ক্যাম্পের সনদপত্র জমা দিয়েছেন। এমনকি সাক্ষী হিসাবে তিনজন মুক্তিযোদ্ধার নাম দিয়েছেন। এসব প্রশিক্ষণের সনদ না দেখে এবং তাড়াহুড়া করে সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য না নিয়েই তদন্ত কাজ শেষ করে পরে তাদের ব্যাপারে বিভক্ত রায় দেয়া হয়। একইসঙ্গে যুদ্ধ করা একই সনদধারী অন্যরা মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত হয়ে সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও এবং সব সাক্ষ্য প্রমাণ দেয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এমনকি কয়েকজনের ভারতে প্রশিক্ষণের সনদ থাকলেও তাদের আবেদন না মঞ্জুর করা হয়। তারা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ইউএনও ইশরাত ফারজানা অনিয়ম ও তাড়াহুড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা বাদ পড়েছেন তারা মন্ত্রণালয়ে যথাযথ কাগজ নিয়ে আপিল করতে পারবেন।
বিডি প্রতিদিন/৫ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা