বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পানগুছি নদীতে ইঞ্জিনচালিত খেয়া ট্রলারডুবির ঘটনায় আজ শুক্রবার চতুর্থ দিনে আরও ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ তিনটি উদ্ধার করেন।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মাসুদ সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধার হওয়া তিনটি লাশেরই পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- শরণখোলা উপজেলার পুলিশ কনস্টেবল সাহিদুল ইসলাম শেখের স্ত্রী নাসিমা বেগম (৩২), ইন্দুকানি উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের বশির উদ্দিন হাওলাদারের স্ত্রী লাবনি আকতার (১৮) ও পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমান তালুকদারের স্ত্রী নাসরিন বেগম (৩২)।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া লাশগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া দুই শিশুসহ আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজরা হচ্ছেন- মোরেলগঞ্জের পল্লীমঙ্গল এলাকার বাচ্চু শেখের ছেলে রাহাত শেখ (৬), উত্তর সুতালড়ী গ্রামের আব্দুল আজিজ এর স্ত্রী কামরুন্নেছা (৫৮) ও একই গ্রামের মোহসীন হাওলাদারের ছেলে হাসিব (৬)।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনভর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীদের ১৪টি টিম ট্রলার নিয়ে পানগুছি ও বলেশ্বর নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪টি লাশ উদ্ধার করে। ফলে গত ৪ দিনে উদ্ধার হলো ১০ নারী, ৫ পুরুষ ও ২ শিশুসহ ১৭ জনের লাশ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে মোরেলগঞ্জের ছোলমবাড়ীয়া ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে উপজেলা সদরের পুরাতন থানা ঘাটে যাবার পথে পানগুছি নদীতে ইঞ্জিনচালিত ওই খেয়া ট্রলারটি ডুবে যায়।
বিডি প্রতিদিন/৩১ মার্চ ২০১৭/এনায়েত করিম