বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান শনিবার বেলা ১১টায় প্রেস ব্রিফিং করে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এ সময় উদ্ধার অভিযানে থাকা নৌবাহিনীর এরিয়া ডাইভিং অফিসার কমান্ডার শাহরিয়ার আকন, বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মাসুদ সরদার, কোষ্টগার্ড মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ফরিদ আহমেদ, মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার বেলা ১০টায় ট্রলারডুরি ঘটনায় গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোষ্টগার্ডের সদস্যরা। এখনো ২ শিশু নিখোঁজ রয়েছে। ওই দুজনকে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন এমনটি মনে করেই উপজেলা প্রশাসন আজ উদ্ধারকারী দলেরর কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে উদ্ধার অভিযান শেষ করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এই ট্রলার দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত যাত্রী বোঁঝাই, অদক্ষ ট্রলার চালক, নৌবাহিনীর গানবোটসহ বিভিন্ন ধরণের জাহাজের ঢেউই দায়ী।
ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতি ট্রলারে ২৫জন যাত্রী, দক্ষ চালক ও এই নদী থেকে চলাচলকারী সকল জাহাজের গতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। এসব বিষয় তদারকীর জন্য নিয়মিত মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান।
বিডি প্রতিদিন/১ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল