ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে প্রায় ৫শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে এবং অনেক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল সকাল থেকেই দলে দলে হাসপাতালে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক ও স্বজনরা জানায়, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ উপলক্ষে শনিবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃমি নাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে প্রথমে অচিন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে শুরু করে। পরপর দেবতলা, কবিরপুর, হিতামপুর, হাকিমপুর, পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝাউদিয়া, কাতলাগাড়ি, ষষ্টিবরসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে থাকে। এ ঘটনার পর অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীরা ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ে।
তাদেরকে ভ্যান, নসিমন ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদকে হটাৎ করেই ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় স্যালাইনের অভাব দেখা দিয়েছে। সেই সাথে ঔষুধ ও চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ চিকিৎসক টিম শৈলকুপা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
খবর পেয়ে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংদস সদস্য আব্দুল হাই, উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার মোশাররফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উসমান গনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্লা ও পুলিশ প্রশাসন হাসপাতালে তাদেরকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খন্দকার বাবর জানান, প্রচন্ড গরমের কারনে বাচ্চারা কিছুটা অসুস্থ্য হয়েছে। আতংকিত হবার কিছু নেই। চিকিৎসা দিলে সুস্থ্য হয়ে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/ ১ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৭