বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ নৌপ্রটোকলভূক্ত চ্যানেল পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারে চালানো অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ট্রলার ডুবির এই ঘটনায় এখনো দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ থাকা শিশুরা হলো বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর সুতালড়ি গ্রামের মহসিনের ছয় বছর বয়সী ছেলে হাসিব এবং একই উপজেলা পল্লীমঙ্গল এলাকার বাচ্চুর ছয় মাস বয়সী ছেলে রাহাত।
ট্রলার ডুবির ৫ম দিনে শনিবার দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান প্রেস ব্রিফিং করে এই অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন। গত মঙ্গলবার সকালে মোড়েলগঞ্জের ছোলমবাড়ীয়া ঘাট থেকে পারাপারের সময় ৮০ জনের অধিক অতিরক্ত যাত্রী নিয়ে পুরাতন থানা ঘাটে যাবার পথে পানগুছি নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়
মঙ্গলবার সকালে ট্রলার ডুরি পর থেকে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। গত ৫ দিনে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ১৯ জনের মধ্যে ১০ নারী, পাঁচ পুরুষ ও দুই শিশুসহ ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে তারা।
প্রেস ব্রিফিং এ মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, "পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবির পর নিখোঁজদের উদ্ধারে সরকারের তিন বাহিনী গত পাঁচদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এছাড়াও স্থানীয়রাও এই কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ যে দুই শিশুকে এখনো পাওয়া যায়নি তাদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করবে। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ এবং ঘাট মালিকদের অব্যবস্থাপনার কারনে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবী করেন।
প্রেস ব্রিফিং এ অন্যান্যের মধ্যে নৌবাহিনীর কমান্ডার শাহরিয়ার আকন,ফায়ারা সার্ভিসের বাগেরহাটের এডি সরদার মাসুদুর রহমান, মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ ১ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৮