পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় রাধা-গোবিন্দ মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা মন্দিরের ক্লবসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দূর্গা প্রতিমার বাম হাত দুমরে মুছরে ফেলেছে। অন্যান্য হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলাসহ স্বরস্বতী প্রতিমার উপরে ফেলা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা ও মহিপুর থানার ওসি মো.মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। এ ঘটনায় শনিবার সকালের দিকে ওই মন্দির কমিটির সহ সভাপতি উত্তম কুমার দে মহিপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে বলে জানা গেছে।
মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত কেয়ার টেকার নির্মল চন্দ্র রায় জানান, "সন্ধ্যা আরতি শেষে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মন্দিরের গেটে তালা দিয়ে ঘুমাতে যাই। ভোর সাড়ে চারটার দিকে আরতি করতে গিয়ে দেখি মন্দিরে তালা ভাঙ্গা এবং দূর্গা প্রতিমার কয়েকটি হাত দুমরে-মুচরে রাখা। অন্যান্য হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলেছে। এছাড়া স্বরস্বতী প্রতিমা সহ তার বাহন হাঁস ভাংচুর করে উপুর করে রাখা হয়েছে।"
কুয়াকাটা রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজ সেবক অনন্ত মূর্খাজী জানান, প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা দুঃখ জনক। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।
মন্দির কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল সৈদ্যাল বলেন, "মন্দির সংলগ্ন একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা থাকা সত্বেও দু’টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে কখনো কোন সম্প্রীতির অভাব দেখা দেয়নি। কিন্তু এ ঘটনা কে বা করা ঘটিয়েছে এটি ধারণা করা মুশকিল। এ এলাকায় প্রতিমা ভাংচুর এই প্রথম এবং এটা অনাকাংখিত।"
মহিপুর থানার ওসি মো.মিজানুর রহমান জানান, "প্রতিমা ভাঙ্গার বিষয়টি আমার কাছে রহস্য মনে হয়। তবে সারারাত থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত পুলিশ ওই স্থানে তাদের ডিউটি পালন করেছে। কারণ অনুসন্ধানে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা বলেন, "কুয়াকাটায় ধর্মীয় মতবেদ এবং মৌলবাদী গোষ্ঠি নেই। কোন মহল সুবিধা নিতে এ অপকর্মটি করে থাকতে পারে।"।
বিডি প্রতিদিন/ ১ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২৭