সিলেট ও রাজশাহীর সিটি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ ও বরখাস্তের দিনে ফের সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ১০ দিনের মাথায় আবারও তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে প্রয়াত সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার মামলায় জিকে গউছের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পৌর ১) মো. আব্দুর রউফ মিয়া স্বাক্ষরিত পত্রে বরখাস্তের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, 'মেয়র জি কে গউছের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলায় (নং ৪/২০০৯) সম্পূরক অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ ২০১৭ তারিখে গৃহীত হয়েছে। তাই স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনে, ২০০৯ এর ৩১ ধারার ১ উপধারা মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।'
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম গউছের বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে থাকাবস্থায় ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে জিকে গউছ তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। প্যারোলে মুক্ত হয়ে শপথ গ্রহণ করেন তিনি।
কিবয়িয়া হত্যা মামলায় অভিযোপত্রভুক্ত আসামি হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গউছকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। চলিত বছরের জানুয়ারিতে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান গউছ। এরপর গত ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াসহ পাঁচ জন নিহত হন। এ মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে গউছের নাম রয়েছে। এদিকে, ২০০৪ সালের ২১ জুন দিরাই বাজারে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের একটি সমাবেশে বোমা হামলার মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।