কুমড়া বাড়ি। একটা সময়ে খরস্রোতা আত্রাই নদীর চরের চারিদিকে কুমড়া চাষ হওয়ায় সবাই এই চরকে এই নামে ডাকে। এখানে কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই বাণিজ্যিকভাবে কুমড়া চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন নুরুল ইসলামসহ আরো অনেকে। তিনি ৫ বছর ধরে এ নদীর চরে চাষ করেই সংসার চালাচ্ছেন। কুমড়া চাষে সফলতায় ওই অঞ্চলের সকলে নদীর দু-মুখো ঘাট এলাকার চরটিকে এখন কুমড়া বাড়ি বলে ডাকেন।
কৃষক নুরুল ইসলাম দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউপির ঝানঝিরা চেয়ারমান পাড়ার অধিবাসী। নদীর চরে চাষ করেই ৬ জনের সংসার স্বচ্ছলভাবে চালাচ্ছেন। তিনি আত্রাই নদীর চরের ৩ একর জমিতে কুমড়া আবাদ করেন। বাণিজ্যিকভাবে এ কুমড়া আবাদে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৪৫ হাজার টাকা। আর এই চরের ক্ষেত হতে এরই মধ্যে ৪শ টাকা মন দরে ৫০মন কুমড়া ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। আরও ১লাখ ৫০হাজার টাকার কুমড়া বিক্রয়ে আশা করছেন তিনি।
কুমড়া চাষী নুরুল ইসলাম জানান, কৃষি বিষয়ে তেমন কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলনা। তবে ধান চাষ করি। কিন্তু কুমড়া চাষে বেশি লাভবান হওয়ায় এখন কুমড়া চাষ করি। রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে ৪০০/৩৫০ টাকা মণ দরে ইতিমধ্যে ৫০ মণ কুমড়া বিক্রয় করেছি। তবে চাহিদা বেশি থাকায় মাঝে মাঝে মণপ্রতি ৪৫০-৫০০ টাকা দরেও বিক্রয় করা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার