বেগমগঞ্জে মুজাহিদপুর গ্রামে পারিবারিক সম্পত্তি আত্মসাতের লক্ষ্যে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে দীর্ঘদিন থেকে মামলা-হামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, মুজাহিদপুরের সাহাব উদ্দিন সস্প্রতি বিদেশ থাকাকালীন তার ভাই কামাল উদ্দিন ও ইউসুফ গংরা তার নিকট থেকে প্রায় ১৩ লাখ টাকা নেয়। তার নামে জমি ও ঢাকায় দোকান কিনে দেওয়ার কথা বলে, কিন্তু পরবর্তীতে তাদের ওয়াদা রাখেনি। এই নিয়ে র্দীঘদিন থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে থানা ও আদালতে মামলা রয়েছে।
সম্প্রতি গত ১১ মে একটি হয়রানির মামলায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের মেয়ে মমতাজ ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ফাতেমাকে শুক্রবার পুলিশ দিয়ে আটক করে সুধারাম থানায় নিয়ে কোর্টে চালান দেয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন দেয়। অথচ এর আগে ৯ মে পুলিশ সুপারের নিকট মমতাজ বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করলেও বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত কামাল ইউসুফদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে মুক্তিযোদ্ধা মেয়ে মমতাজ অভিযোগ করেন। এর আগে কোন মামলা ছাড়াই বেগমগঞ্জ থানার এএসআই মহিনউদ্দিন মমতাজের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং মোবাইল চিনিয়ে নিয়ে যায়।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিম সুপার জহিরুল ইসলাম জানান, র্দীঘদিন থেকে তাদের জায়গা-জমির বিরোধ। তবে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য মমতাজ ও তার স্বামী তাদের কাছে কিছু সম্পত্তি পাবে এটা সত্য মনে হচ্ছে, কিন্তুু এটা আদালতের ব্যাপার। তবে তারা পুলিশ এর বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ায় তাদের ক্ষতি হয়েছে। আমি বিষয়টি ওসির সাথে আলাপ করে তদন্ত করে ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার