টেকনাফে সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এনামুুল হককে হয়রানির ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (২০ মে) বিকাল ৪ টায় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চকবাজার এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এলাকার শতশত নারী পুরুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন চকবাজার এলাকার স্থানীয় মুরব্বী আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এসআই সুমন মিয়ার নেতৃত্বে একটি টীম আমাদের ইউপি সদস্য এনামুল হকের বাড়িতে ঢুকে তাকে বিনা অজুহাতে হাতকড়া পরিয়ে নাজেহাল এবং ইয়াবা দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালায়। এই খবরে এলাকার শতশত নারী পুরুষ গাড়িসহ গোয়েন্দা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ ঘটনার এক পর্যায়ে ডিবি পুলিশ ইউপি সদস্য এনামুল হককে ছেড়ে দেয়। এ ফাঁকে স্থানীয় একটি প্রতিপক্ষ গ্রুপ আমাদের জনপ্রিয় মেম্বারকে ফাঁসাতে ডিবির ব্যবহৃত গাড়িটিতে ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দীন খান ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত হন।
পরে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ইউপি সদস্য এনামুল হকসহ পরিবারের কয়েক সদস্যকে আসামী করে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে। ইতিপূর্বে এই ষড়যন্ত্রকারী মহল এনামুল হককে নিজেরা অস্ত্র এবং ইয়াবা দিয়ে বিজিবির মাধ্যমে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িত করে। শুধু তাই নয়, এই ষড়যন্ত্রকারী মহল গত ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ইউপি সদস্যের ভাই আজিজুল হক মার্কিনকে খুন করে এবং অপর ভাই মৌলভী নুরুল হককে গুরুতর আহত করে। প্রতিপক্ষের অবিরত হামলা, মিথ্যা মামলা ও পুরো পরিবারের উপর নির্যাতনের পরও গত ইউপি নির্বাচনে কারাবন্দী অবস্থায় এনামুল হক এনাম বিপুল ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হয়। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিজ্ঞ আদালত থেকে সমস্ত মিথ্যা মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরে এসে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ও সামাজিক বিচার সালিশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছিলেন। এতে এলাকায় তার জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যায়। একারণে প্রতিপক্ষ এনাম মেম্বারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষানিত হয়ে গত ১২ মে তাকে হামলা করে প্রাণনাশের চেষ্টা চালায়। এ মহলটি তাকে খুন করতে ব্যর্থ হয়ে কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের একটি টীমকে মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে ফাঁসানোর চেষ্টা চালায়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ মে গোয়েন্দা পুলিশ ইউপি সদস্যের বাড়িতে ঢুকে তাকে আটক করার প্রচেষ্টা চালায়। আমারা ইউপি সদস্য এনামুল হকের উপর এ ধরনের অপ-তৎপরতার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করে জনগণের সামনে উন্মোচন করতে সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার