বাগেরহাটের মোংলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, জিল্লুর রহমান, ফৌজিয়া বেগম, মনিরা বেগম, তন্বী, রাজ্জাক, বায়জিদ, আমির, মিজান তালুকদার, দুলাল ও মিঠু।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, মোংলা পোর্ট পৌরসভার কবরস্থান রোড এলাকার বাসিন্দা জিল্লুর রহমান ও মিজান তালুকদারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য পূর্ব সিদ্ধান্তনুযায়ী শনিবার সকালে স্থানীয় এক আমিন তার লোক নিয়ে মাপঝোপের জন্য ওই জমিতে যায়। মাপঝোপ চলাকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জিল্লুর রহমানের পরিবার ও মিজান তালুকদারের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়।
এ সময় রক্তাক্ত আহত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম বলেন, জমি মাপামাপি চলাকালে মিজান তার লোকজন নিয়ে হঠাৎ করে তার স্বামী জিল্লুর রহমান, মেয়ে তন্বী, বোন মনিরা, দেবর আ. রাজ্জাক, ছেলে বায়জিদ ও আমিরের উপর লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালিয়ে মারাত্মভাবে আহত করে। এদের মধ্যে ফৌজিয়া, রাজ্জাক, তন্বি ও মনিরাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে আহত মিজান তালুকদার বলেন, জমি মাপার সময় জিল্লুর রহমানের শ্যালক আ. রাজ্জাক হঠাৎ করে আমিনের উপর চড়াও হয়ে যায়। এ সময় আমার সাথে থাকা ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হাওলাদার রাজ্জাককে থামানোর চেষ্টা করলে রাজ্জাক ও জিল্লুর দুই ছেলে বায়জিদ এবং আমির দুলালকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতেই উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে আমি (মিজান) ও আমার লোক মিঠু, লিটন, আজগর, ফোরকান, দুলাল, সবুর, বেবি, মধু আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মিঠুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাকী লোকজনদেরকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কবরস্থান এলাকার বাসিন্দা জিল্লুর রহমান মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে চাকরীরত রয়েছেন। আর মিজান তালুকদার স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী।
মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার মনজুর এলাহী বলেন, কবরস্থান এলাকায় জমিজমা নিয়ে মারামারির ঘটনায় সঠিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার