‘সংস্কারপন্থি’ হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি নজির হোসেনের দলে ফেরা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকে দলের বাইরে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন চেয়ারপারসন।
নির্দেশ পেয়ে শুক্রবার প্রথম সুনামগঞ্জ আসেন তিনি। নজির হোসেন বিকাল ৩টার দিকে সুনামগঞ্জ শহরে প্রবেশ করেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে শহরে বিক্ষোভ করেন চেয়ারপরাসনের উপদেষ্টা ফজলুল হক আছপিয়া এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নূরুল ইসলাম নূরুলের সমর্থকরা। আছপিয়া-নূরুল সমর্থক জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা নজির হোসেনের ওয়াপদা রোডের বাসার পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল মহড়া করে তার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। তখন নজিরকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা কয়েকশ নেতা-কর্মী ওই বাসায় অবস্থান করছিলেন।
এতে দুই গ্রুপে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। আছপিয়া-নূরুল গ্রুপের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংস্কারপন্থী নজির হোসেনের স্থান সুনামগঞ্জ বিএনপিতে হবে না। তার আগমনের খবর পেয়ে বিক্ষোভ করেছি আমরা। আমাদের আসার খবরে তার সমর্থকরা বাসার ভেতর পালিয়েছে।’
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিকাল ৫টায় নিজ বাসার সামনে কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন নজির হোসেন। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাকে দলে সক্রিয় হতে বলেছেন। আমি তাঁর নির্দেশ পেয়ে সুনামগঞ্জে এসেছি। এটা অন্তর্দ্বন্দ্বের সময় নয়, দলকে শক্তিশালী করে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়।’
এসময় আরও বক্তৃতা করেন, জেলা বিএনপির নাদির আহমদ, রেজাউল হক, রাখাব উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল্লাহ আল নোমান, ছাত্রদলের সৈয়দ শফিকুল হক প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/২১ মে ২০১৭/হিমেল