ঘাটাইলে বাল্য বিয়ে বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বরসহ ১৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের ধোপাজানি গ্রামে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন এ রায় প্রদান করেন। এসময় ১৭ জনের কাছ থেকে সর্বমোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ঘাটাইল থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের ধোপাজানি গ্রামের হেলাল উদ্দিন তার কিশোরী মেয়ে হেলেনা খাতুনের (১৪) বিয়ের আয়োজন করে। হেলেনা ব্রক্ষ্মনশাসন খাদিজা আছিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। বর একই উপজেলার নরজনা গ্রামের মৃত আরশেদ আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২২)। বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পর বর ও কনে পক্ষের আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত হন। খাওয়া দাওয়া শেষে চলছিল বিয়ে সম্পাদনের অনুষ্ঠান। এ সময় বিয়ে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন। তাৎক্ষনিক বিয়ে বাড়ি থেকে কনের বাবা ও বরসহ উভয় পক্ষের ১৭ জনকে আটক করে ঘাটাইল থানার পুলিশ। পরে কনের বাবা হেলাল উদ্দিনকে ৪০ হাজার টাকা ও বরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া চার জনকে ১০ হাজার টাকা করে এবং বাকীদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আনাদায়ে প্রত্যেককে তিনমাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শাহজাহান কবীর (৫০), মোঃ রাজিব(২৮), আব্দুল হাদিদ (৬০), শিউলী বেগম (৩৬), বুলবুলি বেগম (৩৫), আল আমিন (১৯), শাহিদা বেগম (৩৫), বাদশা মিয়া (৬০), আবু হানিফ (২০), আবু সাইদ (৪৫), সুমন (২০), জহুরুল ইসলাম (২০), আজিজুল হাকিম (৩৫), কনের পিতা হেলাল উদ্দিন (৪৫), বর আশরাফুল ইসলাম (২২), শামীম মিয়া (২৫), মিজানুল ইসলাম (১৯)ও আব্দুল জলিল (৪৫)। এদের সকলের বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার ধোপাজানি ও নরজনা গ্রামে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন জানান, বাল্য বিয়ে রোধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যই এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৮ জুলাই ২০১৭/হিমেল