রাঙামাটির নানিয়ারচরে সুবল পুরি চাকমা নামে এক নারীকে অপহরণের অভিযোগে ইউপিডিএফের কর্মী মদন চাকমাকে (৩৫) আটক করেছে সেনাবাহিনী। আটকের পর মদন চাকমা ইউপিডিএফের চাঁদা সংগ্রহকারী কর্মী বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
শনিবার নানিয়ারচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুবল পুরি চাকমা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
সুবল পুরি চাকমা অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত মদন চাকমা আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। আমি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করি। এরপর সে গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় মদন চাকমাসহ চারজনের একটি গ্রুপ আমাকে জোর করে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
দীর্ঘদিন মদন চাকমার বাড়িতে আটকে রাখা হয়। বিষয়টি এলাকার ছড়িয়ে পড়লে আমাকে মদন চাকমা স্থানীয় গ্রাম প্রধান (কার্বারী) অমরেশ চাকমার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে আটকে রাখে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৭ জুলাই যৌথ-বাহিনীর একটি দল আমাকে স্থানীয় অমরেশ চাকমার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এরপর আমি মদন চাকমার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করি।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন নানিয়ারচর সেনা জোন সংলগ্ন ইসলামপুর আর্মি ক্যাম্পে ইউপিডিএফের চাঁদা সংগ্রহকারী মদন চাকমা বিরুদ্ধে সুবল পুরি চাকমাকে অপহরণের অভিযোগ আসে। অভিযোগের পর নানিয়ারচর সেনা জোন লম্বাছড়ি এলাকায় অমরেশ চাকমার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে অপহৃত সুবল পুরি চাকমাকে উদ্ধার করা হয়।
পরে তার অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপিডিএফর কর্মী মদন চাকমাকে আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে মদন চাকমা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করেন এবং নিজেকে ইউপিডিএফর চাঁদা আদায়কারী কর্মী বলে দাবি করেন। পরে তাকে নানিয়ারচর থানা পুলিশর কাছে হস্তান্তর করেন সেনাবাহিনী।
এ ব্যাপারে নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযুক্ত মদন চাকমার বিরুদ্ধে সুবল পুরি চাকমা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০৮ জুলাই ২০১৭/আরাফাত