পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও স্রোত বেশি থাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কিছু স্থাপনা, ফসলি জমি, পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আতঙ্কিত মানুষ তাদের বসতঘরের আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের কলমিরচর গ্রাম ও নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ভাঙন কবলিতরা।
নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো তাদের বসতঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছে। কেউ কেউ বাড়ির আঙিনায় থাকা গাছ কেটে নিচ্ছেন। পরিবারগুলো কোথায় আশ্রয় না পেয়ে পাশের গ্রামগুলোর ফসলি জমিতে খোলা আকাশের নিচে, কেউ কেউ ছাপরা ঘর করে থাকছেন। ভাঙন আতঙ্কে থাকা পরিবারগুলোও তাদের বসতঘর সরিয়ে নিচ্ছেন।
জাজিরার কুন্ডের চর থেকে নড়িয়ার সুরেশ্বর লঞ্চঘাট পযর্ন্ত ৮ হাজার ৯০০ মিটার বাঁধ দেয়া হবে। ১২৯৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে জমা আছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে এ এলাকার ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ।
বিডি প্রতিদিন/৯ জুলাই, ২০১৭/ফারজানা