জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। রবিবার সকালে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শনিবার দুপুরে একই পয়েন্টে যমুনার পানি ছিল বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপরে।
সন্ধ্যায় ছিল ৩৭ সেন্টিমিটার উপরে। তবে বরিবার সকালে এই পয়েন্টে পানি এক সেন্টিমিটার কমে এখন বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী।
তবে যমুনা ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীগুলোর পানি ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকায়। সব মিলিয়ে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানির তোড়ে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গিয়ে ইসলামপুর উপজেলার আমতল-বলিয়াদহ-শিংভাঙ্গা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। মেলান্দহ-মাহমুদ সড়কের ডাইভারশনে পানি উঠায় ব্যাহত হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ। এছাড়া ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ছে জনপদে। বন্যার পানি উঠায় জেলার ২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাসেল সাবরিন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২০টন চাল ও ২০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০৯ জুলাই ২০১৭/আরাফাত