শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশুকে (৮) ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি মসজিদের ইমাম আজিজুল হককে ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
অপরদিকে সালিশ করে মিমাংসা করার অপরাধে গ্রেফতার হওয়া ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ মোট ৬ জনকে জামিন দিয়েছে আদালত। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মমিনুনেছা খানম আজ রবিবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
গত শুক্রবার ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ওই ইমামসহ মোট ৭জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে পেশ করলে আদালত সবাইকে জেল হাজতে পাঠায়। জামিন পাওয়ারা হলেন নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনূস আলী দেওয়ান, ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাজাহান আলী, আজাহার আলী এবং মসজিদ কমিটির সদস্য ফুল মাহমুদ ও ইসমাইল হোসেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার সকালে ওই শিশুটি তার ছোট ভাইকে নিয়ে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের মৌয়াকুড়া জামে মসজিদে মক্তব পড়তে যায়। এ সময় বৃষ্টি থাকায় উপস্থিতি কম দেখে ওই মক্তব্যের শিক্ষক ও ইমাম আজিজুল হক উপস্থিত অন্য দুই ছাত্রকে খাবার আনতে একটি বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
পরে সে ওই শিশুটিকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরে। পরে ঘটনাটি কাউকে না বলার শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়। ধর্ষণের চেষ্টার সময় ওই শিশুর গালে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ে দেয় অজিজুল। এ ঘটনাটি ২৫ হাজার টাকায় মিমাংসা করার অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার করে।
বিডি প্রতিদিন/ ০৯ জুলাই, ২০১৭/ ই- জাহান