৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর বাবাকে পেটালো বখাটেরা। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার নজরপুর গ্রামে। এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ছাত্রীর বাবা।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাটেশ্বর ইউপির নজরপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৪০) এর মেয়ে (১৫) স্থানীয় বজরা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। দীর্ঘদিন থেকে একই গ্রামের মোবারক উল্যার ছেলে মো. শাকিল (২২) ওই মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে তাকে পথ আটকিয়ে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দেওয়া, হাত ধরে টানাটানি, জোর পূর্বক ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করত এবং বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করত।
ওই ছাত্রী বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও তার পরিবারকে জানায়। এই নিয়ে ছাত্রীর পিতা শাকিলের পরিবারকে বারবার বিষয়টি জানালেও এর কোন সুরাহ পাচ্ছিল না ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার একইভাবে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করলে তার বাবা আব্দুল খালেক রাত ১০টার দিকে শাকিলের পরিবারকে বিষয়টি জানাতে গেলে শাকিল ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরাসহ তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।
বিষয়টি ছাত্রীর পিতা স্থানীয় এলাকাবাসীকে জানালে গতকাল সকালে পাড়ার চায়ের দোকানে শাকিল পুনরায় মিরাজ, রিয়াজ, মোহাম্মদ আলীসহ একদল বখাটে নিয়ে ছাত্রীর বাবার উপর হামলা চালায়।
এ সময় দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে বজরা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা হোসেন জানান, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার এস আই মনোয়ার হোসেন জানান, আামরা বিষয়টি তদন্ত করেছি। ইভটিজারকে ধরার চেষ্ঠা চালানো হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ০৯ জুলাই, ২০১৭/ ই- জাহান