বগুড়া জেলায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান বিপদসীমার (২৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যমুনার তীরবর্তী বগুড়ার ৩টি উপজেলা- সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের বেশ কিছু নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এসব নিম্মঞ্চলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। বাড়ি ঘরে পানি ওঠায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। এছাড়া পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা সহ ৬টি উচ্চ বিদ্যালয় প্লাবিত করেছে। বাধ্য হয়ে সারিয়াকান্দির বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চন্দনবাইশা আবু আব্দুলাহ দাখিল মাদ্রাসা, শোনপচা উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর টেংরাকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়, জামথল উচ্চ বিদ্যালয়, আউচার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও নিজাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকায় যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় সারিয়াকান্দির উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার কামালপুর, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত ১০টি গ্রামের ৫ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৬০ হেক্টর জমির আউশ আবাদ, ১ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমির পাট, ২৫ হেক্টর সবজি, ২০ হেক্টর জমির বীজতলা বন্যা কবলিত হয়েছে।
অন্যদিকে ধুনট উপজেলার ভান্ডরবাড়ি ও গোসাইবাড়ি এবং সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ও তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বাঁধ সংলগ্ন বেশ কিছু গ্রামের বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসন জানিয়েছে বন্যা কবলিত সারিয়াকান্দি ও সোনাতলায় ৭০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যাকবলিত অপর উপজেলা ধুনটেও ত্রান সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ০৯ জুলাই, ২০১৭/ ই- জাহান