সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বিপদসীমার (২৬ সে.মি.) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। ফলে সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ, চর মালসাপাড়া, বিয়ারাঘাট, বাহুকা ও কাজিপুর উপজেলার শুভগাছাসহ চরাঞ্চলের ২৭টি ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
এসব অঞ্চলে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ী ছেড়ে অনেকেই ওয়াপদাবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়ায় এ সকল মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতরভাবে জীবনযাপন করেছে। সরকারীভাবে কোন ত্রাণ সহায়তায় না পাওয়ায় তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অন্যদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে উজানে কাজিপুরের শুভগাছা ও ভাটিতে শাহজাদপুরে উপজেলার সোনাতুনি ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মাত্র এক সপ্তাহে সোনাতুনী ইউনিয়নের ধীতপুর, শ্রীপুর, সোনাতুনি, বানতিয়ার, বড় চানতারা, ছোট চানতারা, মাকড়া ও কুরসি গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক বসতভিটাসহ ৫ শতাধিক ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়াও বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের ১০ হাজার বিঘা গোচারণ ভূমি ও শতাধিক গরুর বাথান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ফলে গো-খামারীরা তাদের শত শত গবাদি পশু বাথান এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
বানতিয়ার গ্রামের নুরুল ইসলাম ও শামসুল ইসলাম জানান, ভাঙন শুরু হলেও পাউবো কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
মালসাপাড়া কাটাওয়াপদা এলাকার হাজেরা খাতুন ও আবুল কালাম জানান, সাতদিন ধরে বসতভিটায় পানি ওঠেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। কর্ম না থাকায় খুব কষ্টে দিনযাপন করছি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। সোমবার থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ০৯ জুলাই, ২০১৭/ ই- জাহান