পড়ালেখার পাশাপাশি উৎপাদিত ফসলের অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করেছে ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট।
রবিবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক প্রশিক্ষক কৃষিবিদ মো. মোবারক আলী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ১০০জন শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির টাকা তুলে দেন।
প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো. আব্দুল কাদের জানান, এ প্রতিষ্ঠানের শিখি-করি-খাই কার্যক্রম এখন কৃষি বিভাগের কাছে একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি কীটনাশকমুক্ত ফসল উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে।
ক্যাম্পাসের মধ্যে পরিত্যক্ত ২০ শতক ও পরবর্তীতে ৬০ শতক জমি আবাদ করা হয়। এখন জৈব পদ্ধতিতে করা হচ্ছে সবজি চাষ। বর্তমানে অনাবাদি জমি পরিষ্কার করে আবাদি জমি করা হয়েছে আট একর। চাষ করা হচ্ছে ৬০ প্রকার ফসল।
কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে শিক্ষার্থী ছেলে-মেয়েরা কাজ করছে ক্ষেতে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিখছে হাতে-কলমে কৃষিকাজ। আর তাদের উৎপাদিত সবজি নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করছে তারা। আর এই সবজি বিক্রির অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়ক বৃত্তি প্রদান করছেন কলেজ কতৃপক্ষ।
বৃত্তি প্রদান শেষে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের উৎপাদিত ফসলের বিভিন্ন প্লট পরিদর্শন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহ মো. আকরামুল হক ও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মো. মনিরুজ্জামান এবং ঝিনাইদহ কৃষি ইনিষ্টিটিউট এর শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ ০৯ জুলাই, ২০১৭/ ই- জাহান