নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর গ্রামের একটি বাড়িতে ৩৫টি বিষধর গোখরা সাপ ও ১৫টি সাপের ডিম পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় একে একে সব সাপই মেরে ফেলা হয়েছে। তবে মা সাপকে ধরা যায়নি। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার মাধনগর গ্রামের মৃত ফায়েজ উদ্দিন আরিন্দারের ছেলে হাসান উদ্দিন আরিন্দার বাড়ির শয়নঘর থেকে এসব সাপ ও ডিমগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে তা পুড়িয়ে মারা হয়।
হাসান আলী আরিন্দা জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে টিভি দেখা শেষ করে ঘুমোতে যাওয়ার আগে শয়ন ঘরের মেঝেতে একটি বিষধর সাপ দেখতে পান। এসময় সাপটিকে মেরে বাহিরে ফেলে দেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির অন্য একটি ঘরে ফের আরও একটি সাপ দেখতে পেয়ে তা মেরে ফেলেন। এসময় ওই ঘরের মেঝেতে একটি গর্ত দেখতে পান তিনি। পরে ওই গর্ত খুঁড়ে আরও ১০টি তাজা বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চা পাওয়া গেলে স্থানীয়দের সহায়তায় তা মেরে ফেলেন। এসময় ১৫টি সাপের ডিমও পাওয়া যায় ওই গর্ত থেকে। পরে ওই গর্তের সূত্র ধরে আরও তিনটি গর্তের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে এক এক করে মোট ২৫টি বিষধর সাপ মারা হয়। গর্তে পাওয়া সাপগুলো মেরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও মা সাপটিকে পাওয়া যায়নি। সাপগুলোর একেকটি লম্বায় প্রায় দেড় থেকে দুই ফুট লম্বা।
আরিন্দা আরো জানায়, এখন তারা ওই বাড়িতে আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ বাড়িতে আরও সাপের বাসা থাকতে পারে এবং যেকোন সময় সাপগুলো বের হয়ে এসে কামড় দিতে পারে।
মাধনগর ইউনিয়নের ৫নং ওর্য়াড সদস্য জয়নাল আবেদিন জানায়, হাসানের বাড়িটি মাটির হওয়ায় ওই ঘরে অসংখ্য ইঁদুরের গর্ত রয়েছে। আর সেই গর্তগুলোতে সাপ বাসা বেধেছিল। শাবল দিয়ে গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে সাপগুলো মারা হয়েছে। পরে গর্তের মধ্যে ভেতর পানি ঢেলে দেওয়া হয়েছে। এতে আরও সাপ থাকলে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা আছে। এ ঘটনায় এলাকায় একদিকে আতঙ্ক, অন্যদিকে চাঞ্চল্যেরও সৃষ্টি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার