বগুড়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে আরো প্রায় ২০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। পানি উঠায় নদী এলাকার মানুষ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় স্কুলে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে বানভাসিরা।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বুধবার যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৫৪ সেঃ মিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দির কুতুবপুর, বয়রাকান্দি, চন্দনবাইশা এবং কামালপুর ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এসব ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০টি গ্রামে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ঘরে ঘরে পানি উঠায় বানভাসিরা নিজের জায়গা জমি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেওয়া স্থানে গৃহপালিত পশু ও পরিবারের সদস্যরা একস্থানে দিনাতিপাত করছে। ক্ষেতে খামারে কাজ করলেও অনেকবানভাসি কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সরকারি, বেসরকারিভাবে ত্রাণ সহযোগতি দেওয়া হলেও বানভাসিরা বলছে চাহিদামত তারা ত্রাণ পাচ্ছে না।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, মঙ্গলবার বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদ সীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর বুধবার পানি কমার আশা করা হলেও উজানে ভারি বর্ষণের কারণে আবারো পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে যমুনা তীরবর্তী সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, বুধবার যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৫৪ সেঃ মিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিনি আরো জানান, শুধু বগুড়ায় নয়, উত্তরের সকল নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন