নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় তিস্তা নদীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। আজ দুপুরে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই গ্রামে তিস্তা নদীর স্পারবাধে সাতশ জনের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুল ইসলাম, সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মণ, জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা এ টি এম আখতারুজ্জামান, ডিমলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
এসময় ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দূর্যোগ মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত আছে। দূর্যোগপূর্ণ এলাকার দ্রুত ত্রাণ নিয়ে হাজির হচ্ছে সরকার।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন,‘বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে, যতোদিন দূর্যোগ থাকবে ততোদিন ত্রাণ প্রদান করা হবে, সরকারে মজুদ পর্যাপ্ত আছে।’
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর ও পূর্বছাতনাই গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সাতশ পরিবারের মাঝে বুধবার ১০ কেজি করে চাল, আধা কেজি করে ডাল, মুড়ি, চিড়া, গুড়, মমবাতি, ম্যাচ ও ১০ লিটারের খাবার পানি রাখার জন্য একটি করে জ্যারিকেন বিতরণ করা হয়। ইউনিয়নে এক হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা এ টি এম আখতারুজ্জামান বলেন, বুধবার ওই দুই উপজেলায় দূর্গত মানুষের মধ্যে ৪০ মেট্রিকটন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৮০ মেট্রিকটন চাল ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের ১৭৫ মেট্রিকটন চাল ও সাড়ে ছয় লাখ টাকার থোক বরাদ্দ মজুদ আছে। ওই দুই উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা তিন হাজার । এর মধ্যে ডিমলায় দুই হাজার পাঁচশ এবং জলঢাকা উপজেলায় পাঁচশ পরিবার।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার ডিমলা উপজেলার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুল্লা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ৩০ গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার