পবিত্র ঈদুল আযহার অর্থাৎ কোরবানির ঈদ আসতে আর মাত্র কদিন বাকি। কিন্তু বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির কারণে এখনো পুরোদমে জমে ওঠেনি দিনাজপুরের কোরবানির পশুহাটগুলো। তবে ক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বেশি। আর বিক্রেতারা বলছেন- দাম তুলানামূলক কম রয়েছে।
কিন্তু ভারতীয় গরু বাজারে এলে খামারিরা লোকসানের মুখে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
খামারিরা বলছেন, জেলার হাটগুলোতে কোরবানির পশু কেনাবেচা পুরোদমে শুরু না হলেও মঙ্গলবারের পর থেকে জমে উঠবে।
তবে শহরের হাটগুলোর চেয়ে গ্রামের হাটে কোরবানির পশুর দাম কম বলে ক্রেতারা বলছেন। খামারিরা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরেও গরু-ছাগল সরবরাহ করছে।
এদিকে, কোরবানিকে সামনে রেখে ১৩ উপজেলার খামারগুলোতে গরু মোটাতাজা করতে গড়ে উঠেছে ছোট বড় ৫৯ হাজার ২৪৪ পশুর খামার।
দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, কোরবানিকে সামনে রেখে খামারিরা লাভের আশায় এক লাখ ২৭ হাজার ৩৫৯টি গরু-ষাড়-মহিষ মোটাতাজা করেছে। দিনাজপুর অঞ্চলে এবার এর চাহিদা ৮২ হাজার ১৬৫টি গরুর চাহিদা রয়েছে। ছাগল-ভেড়া কোরবানির জন্য পালন করেছে ৭০ হাজার ৭৯৬টি এবং জেলায় এর চাহিদা রয়েছে ২৬ হাজার ৩৫টি।
তবে এবার বন্যায় পশু খাদ্য নষ্ট হওয়ায় খামারিরা গরু-ছাগল বিক্রির চেষ্টা করছেন। কিছু দাম কম হলেও অনেক খামারি এসব বিক্রি করে দিবেন বলে তিনি জানান।
ফুলবাড়ীতে গরুর ফড়িয়া ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর বলেন, যে হারে গরুর আমদানি দেখা যাচ্ছে হাটগুলোতে সেই হারে ক্রেতা নেই। ফলে কিছুটা কমদামে বিক্রি করতে হচ্ছে গরুগুলো।
শহরের রেলবাজার হাটের এক বিক্রেতা রহমান জানায়, এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। বন্যায় আমন রোপাসহ বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা। যার ফলে ঈদুল আযহাতে গরু-ছাগলের চাহিদা কমে গেছে। ফলে হাটগুলোতে গরু-ছাগলের ব্যাপক আমদানি হলেও তেমন বেচাকেনা হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/২৭ আগস্ট ২০১৭/আরাফাত