বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ডেইরি খামারে গরু মোটা-তাজাকরণ প্রকল্প এবং দুধ উৎপাদন চালু আছে। আর আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাগেরহাটের খামারীরা গরু মোটাতাজাকরণের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শেষ করেছে। খামারীরা স্থানীয় বাজারের জন্য ৩৫ হাজার গরু ও ১৫ হাজার ছাগল প্রস্তুত রেখেছে বলে নিশ্চিত করেছে বাগেরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ।
দেশীয় খাবারের ওপর নির্ভর করে পশু কোরবানির উপযুক্ত করে তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছেন তারা। প্রতি বছর ভারতীয় গরুর দাপটে স্থানীয় খামারীদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই খামারিদের দাবি, কোরবানির আগে যেন ভারতীয় গরু দেশের বাজারে ঢুকতে না পারে।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্থানীয় বাজারে কোরবানির পশু কেনাবেচা জমে উঠবে। বাগেরহাট ক্যাটেলিং খামারের মালিক জহিরুল ইসলাম মিঠু বলেন,‘আমার খামারে বর্তমানে ৫০টি গরু রয়েছে। দেশীয় খাবার দিয়ে গরুগুলোকে লালন-পালন করা হচ্ছে। আশাকরি কোরবানির ঈদে বাজারে ভাল দাম পাবো। বর্তমানে গরু মোটাতাজাকরণ ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় ওই দিকে ঝুঁকছেন বাগেরহাটের খামারীরা। কোরবানির সময় ভারতীয় গরু অনুপ্রবেশ ঠেকানো গেলে গরুর ব্যবসায় তারা লাভবান হবেন বলে আশা খামারিদের।
বাগেরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ ডা. মো. সাইফুজ্জামান খান জানায়, বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় ছোট-বড় সাড়ে পাঁচ হাজার ডেইরি খামারে গরু মোটা-তাজাকরণ এবং দুধ উৎপাদিত হয়। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বাগেরহাটের খামারীরা গরু মোটাতাজাকরণের প্রত্রিয়া ইতিমধ্যে শেষ করেছে। বাগেরহাট জেলার খামারীরা স্থানীয় বাজারের জন্য ৩৫ হাজার গরু ও ১৫ হাজার ছাগল প্রস্তুত রেখেছে। ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করা গেলে এই পশু স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের বাজারেও বিক্রি করা যাবে বলে মনে করছে প্রাণি সম্পদ বিভাগ।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ আগস্ট, ২০১৭/ ইমরান জাহান