বরিশালে কোরবানির পশুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তায় কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এছাড়া কোরবানির পশুর হাটের ইজারাদাররা বিশৃঙ্খলা করলে বা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া নিয়মের ব্যতয় ঘটালে আগামীতে তারা যাতে পশুর হাটের ইজারা না পায় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করবে পুলিশ। বরিশাল নগরীতে কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তায় ইজারাদারদের সাথে মেট্রোপলিটন পুলিশের এক মতবিনিময় সভায় এই হঁশিয়ারি দেন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমীন। আজ নগরীর চাঁদমারী পুলিশ অফিসার্স মেসের হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমীন।
সভায় পুলিশ কমিশনার ছাড়াও শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই বরিশাল কার্যালয়ের অধিনায়ক কর্নেল শরীফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম আজাদ, উপ-কমিশনার (সদর) কামরুল আমীন, উপ-কমিশনার (দক্ষিন) গোলাম রউফ খান, উপ-কমিশনার (উত্তর) হাবিবুর রহমান খান এবং উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) উত্তম কুমার পালসহ সহকারী কমিশনার ও বিভিন্ন থানার ওসিগন সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভার সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি পুলিশ কমিশনার বলেন, কোরবানির পশুর হাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখা ইজারাদারদের প্রধান দায়িত্ব। পুলিশ ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের পাশে থাকবে জানিয়ে কেউ অপরাধ করলে কঠোর আইনগ ব্যবস্থা নেয়ার হঁশিয়ারি দেন পুলিশ কমিশনার।
এছাড়া কেনা-বেঁচা শেষে পশুরহাটগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা, লঞ্চঘাট ও বাস টার্মিনালে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদানসহ নগরীর সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের উপর গুরুত্বারোপ করেন পুলিশ কমিশনার। এ বছর বরিশাল নগরীতে ৭ টি এবং জেলার ১০ উপজেলায় অর্ধশতাধীক কোরবানির পশুর হাট বসার কথা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার