আশুলিয়ায় অপহরণের ৫ দিন পর মাটিচাপা অবস্থায় এনজিও'র লোন অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন উর্মির (৩০) মরদেহ জঙ্গল থেকে মাটি চাপা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া এই ঘটনায় পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত মোসলেম ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার গভীর রাতে আশুলিয়ার কবিরপুর দেওয়ান পাড়া থেকে মাটিচাপা অবস্থায় মরদেহটি উদ্বার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ওই এনজিও কর্মী আশুলিয়ার কবিরপুর দেওয়ানপাড়া এলাকায় ঋণের টাকা তুলতে চায়। এসময় সে গ্রাহকদের কাছ থেকে ঋণের প্রায় দেড় লক্ষ টাকা তুলেন। পরে সে দেওয়ানপাড়া থেকে অফিসে যাওয়ার পথে মোসলেম নামে এক গ্রাহক কৌশলে তাকে তুলে নেয়। পরবর্তীতে মোসলেম ও তার সহযোগীরা বৃহস্পতিবার রাতে সাবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এবং লাশ গুমের উদ্দেশ্যে মোসলেমের বাড়ি থেকে দেড় কি.মি. দূরে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম প্রযুক্তিগত মোসলেম দফায় রিমান্ডের আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা আশরাফুল হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত এবং স্ত্রী তথ্য জানতে চান বলে উলেখ করেন।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আশরাফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গত ১৪ অক্টোবার দুপুরে আশুলিয়ার কবিরপুর মোসলেমের বাড়ীর ভিতরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরে অন্যরা মাইক্রোবাসে তুলছিলেন। হত্যাকান্ডের আলামত ও জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ হত্যাকান্ডে কত টাকা লেনদেন হয়েছে? কোথায় ও কিভাবে হত্যা করা হয়েছে? অন্য আর কে কে হত্যাকান্ডে জড়িত রয়েছে-এটা জানতে হলে আসামি মোসলেম উদ্দিনকে আবারো সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।”
আশুলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, “এই হত্যার পরিকল্পনাকারী কে? কারা জড়িত এসব জানতে তাকে আরো ৭ দিনের রিমান্ডে দেয়ার প্রয়োজন।” তাদের ২জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার