কিউয়ি ব্র্যান্ডের একটি চাপাতি কিনে বেশ কিছুদিন ধরে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল বখাটে ইমন। মঙ্গলবার দুপুরে সেই সুযোগ কাজে লাগায় সে। দুপুরের দিকে কলেজ ছাত্রী জান্নাতুল যখন ইমনের ভগ্নিপতির বাসার কাছাকাছি পৌঁছায় তখনি উৎপেতে থাকা ইমন তার গতিরোধ করে। এরপর প্রথমেই পিঠে কোপ দিয়ে জান্নাতুলকে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে হাতে, মাথায় ও থুতনীতে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে ইমন। এসময় জান্নাতুলের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন আসতেই পালিয়ে যায় ইমন। এভাবেই পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বখাটে ইমন।
স্বীকারোক্তিতে ইমন আরো জানায়, এর আগের দিন ইমন আনুমানিক সকাল ১০ টার দিকে মেয়েটির বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। বের হতেই তাকে প্রেমের প্রস্তার দেয়। প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করায় ওড়না ও জামা ধরে টান দেয় ইমন। গত ক’দিন ধরেই এমন উত্যক্ত করে আসছিল ওই বখাটে। এসময় একই মহল্লায় থাকা ইমনের ভগ্নিপতি সোহাগের কাছে বিচার দেয়ার হুমকি দেয় কলেজছাত্রী। তখন পথ ছেড়ে দেয় ইমন। এর পরদিন মঙ্গলবার ভগ্নিপতির কাছে বিচার দেয়ার উদ্যেশ্যে রওয়ানা হলে উৎ পেতে থাকা ইমন এমন নৃশংস ঘটনা ঘটায়।
জান্নাতুল পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার পাথাইরকান্দি ইউনিয়নের রায়টুটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের মেয়ে। তিনি পারভীন সিরাজ কেন্দুয়া মহিলা কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী। পড়াশোনার সুবাদে কেন্দুয়া পৌর এলাকার শান্তিবাগ মহল্লায় জনৈক হাবুল মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন। এদিকে একই এলাকার সোহাগের শ্যালক গার্মেন্টস কর্মী বখাটে ইমন জান্নাতুলকে ফলো করে আসছিল।
জানা যায়, ঢাকার উত্তরায় নেক্সট সোর্সিং নামের একটি গার্মেন্টস কর্মী ইমন। বয়স ২৪। বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়নের গগডা গ্রামের ভূইয়া পাড়ায়। কয়েকদিন আগে ওই এলাকায় ভগ্নিপতি সোহাগের বাসায় ওঠে ইমন। প্রেমের প্রস্তাবে পাত্তা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে এমন নৃংশস ঘটনা ঘটায়।
বিডি প্রতিদিন/২০ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল