ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে ৭ জন। এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার চা খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ বাধে। পরে শুক্রবার আবার দুই গ্রামবাসী একই ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। বিকালে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ভরনিয়া বাজার এলাকায় ডাক্তারের চায়ের দোকানের কর্মচারি ইউসুফের পুত্রকে স্থানীয় খুশালি আকতার মারধর করে। পরে বাদশা মেম্বারের পুত্র জামাল খুশালিকে মারধর করে।
ঘটনাটি মিমাংসার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হকের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতেই ইউপি চেয়ারম্যান মুকুল, জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম, যুবলীগ সম্পাদক রমজান আলী, আকবর মাষ্টারসহ গ্রামবাসীরা মিমাংসায় বসে।
কিন্তু আলোচনা চলাকালিন কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষে মারামারি শুরু হয় এবং নাহিদ, বাবুল, গুল্লু, রাশেদসহ ৭ জন আহত হয়। শুক্রবার মারামারির জের ধরে স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজশাহী থেকে আসা (মালদেয়া) বাসিন্দাদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে রানীশংকৈল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারি (৫০), জিয়াউর রহমান (৩৫), বশির উদ্দীন (৩২), নুরুজাম্মান (১৯), মাহাফুজুর রহমান (১৫), আল আমিন (১৫), আবু সুফিয়ান (১৯), আব্দুর রহমান (২৭), লজির উদ্দীন (১৪) ও আব্দুল করিমকে (২৮) গ্রেফতার করে থানা হাজতে আটকে রাখে।
পরবর্তীতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানোর জন্য ভরনিয়া এলাকা পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন বাপ্পি ও পীরগঞ্জ সার্কেল এএসপি মুশফিকুর রহমান। পরিদর্শন শেষে নিরাপত্তার জন্য ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা খন্দকার মো নাহিদ হাসান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে ভরনিয়া সম্পদবারি এলাকায় ১৪৪ ধারা আইন জারি করেন।
বিডি প্রতিদিন/২০ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল