চলতি এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ায় লালমনিরহাটের দুটি কলেজের সাত পরীক্ষার্থীর ফল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় আজ দুপুরে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই পরীক্ষার্থীরা।
অভিযোগে জানা যায়, গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা পুনরায় ২০১৭ সালের সিলেবাস অনুযায়ী বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে লালমনিরহাট সরকারি কলেজের চার জন ও আদর্শ ডিগ্রি কলেজের তিনজন। পরীক্ষার প্রথম দিন সোমবার এ সাত পরীক্ষার্থী লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। কেন্দ্রের পরীক্ষা শুরু হলে তাদের ২০১৬ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন দেওয়া হয়। বিষয়টি কেন্দ্র সচিবকে বিষয়টি অবগত করা হলে কেন্দ্র সচীব তা আমলে না নিয়ে এ প্রশ্নেই পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেন পরীক্ষার্থীদের।
পরীক্ষা শেষে অন্য কেন্দ্রের সহপাঠীদের মাধ্যমে জানতে পারেন অন্যসব কেন্দ্রে ২০১৭ সালের সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। পরে তারা বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষ ও জেলা প্রশাসককে মোবাইল ফোনে অবগত করে প্রতিকার দাবি করেন।
আজ বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় এসব পরীক্ষার্থীকে ২০১৭ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে সাত পরীক্ষার্থী এ ভুলের প্রতিকার চেয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ ও ২০১৭/১৮ সালের সিলেবাসে প্রশ্নের মানবন্টনে ভিন্নতা রয়েছে। ২০১৬ সালের সিলেবাসে নৈবত্তিক ৪০ ও রচনামূলক ৬০ এবং ২০১৭/১৮ সালের সিলেবাসে নৈবক্তিক ৩০ ও রচনামূলক ৭০ নম্বর।
পরীক্ষার্থীরা বলেন, খাতা মূল্যায়নের সময় প্রশ্নের মানবন্টনে তাদের ফলাফলে সমস্যা হতে পারে। তাই প্রথমেই ভুল প্রশ্নের প্রতিবাদ জানান। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কেন্দ্র সচিব বলেন এটা কাউকে বলার দরকার নেই।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পর কেন্দ্র সচিব ও কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। কেন এমনটি হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার