পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের ফলে অন্তসত্বা হওয়ার ঘটনায় প্রতিবেশী যুবক সোহেলসহ (২২) ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ দুপুরে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আবু মনসুর মো. জিয়াউল হক মামলাটি এজাহার হিসেবে আমলে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তেঁতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, জেলার তেতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মো. সোহেল (২২), তার ভাই মো. জুয়েল (২৭), তাদের বাবা সপিকুল ইসলাম ওরফে খুদুত এবং ওই এলাকার মিয়া হোসেনের ছেলে মো. আহাবদ (৩২)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একই এলাকার মো. সপিকুল ইসলাম ওরফে খুদুতের ছেলে মো. সোহেল বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এই সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ৪ মে সোহেল ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সোহেল অপরিচিত দু'জন ব্যক্তির সহযোগিতায় বিভিন্ন কৌশলে ও ফুসলিয়ে কালিমা পড়িয়ে উভয়ের মধ্যে বিবাহ হয়েছে বলে ওই কিশোরীকে বুঝান। অপরিচিত ওই ব্যক্তি চলে যাওয়ার পর সোহেল জোরপূর্বক ওই কিশোরীর সাথে শরিরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কিছুদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই স্কুলছাত্রীকে ঘরে তুলে নেবে এমন আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মেলামেশা করে। এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীকে অন্তসত্বা হয়ে পড়লে সোহেল তাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিবে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে।
পরে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা-মা বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করে। স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মেয়টিকে বিয়ে করে ঘর সংসার করতে সোহেল ও তার পরিবারকে জানায়। কিন্তু তারা তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। পরে স্থানীয়রা তাদের আইনের আশ্রয় নিতে আদালতে মামলা আনয়নের পরামর্শ দেন।
মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, মামলার পূর্বে পঞ্চগড় শহরের একটি ডায়াগনেষ্টিক এন্ড কনসালটেন্সি সেন্টারে ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় ৩৫+ সপ্তাহের অন্তসত্বার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার