নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় স্ত্রী রীমার হত্যাকারী আল আমিন আদালতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। একই সাথে তিনি জানিয়েছে স্ত্রীর অন্যত্র পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল, আর তা সহ্য করতে না পেরেই তাকে হত্যা করেছে সে। আজ মঙ্গলবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন আল আমিন। আল আমিন ফতুল্লার কোতালেরবাগ এলাকার মৃত আছিল্ল সর্দারের ছেলে।
জবানবন্দিতে আল আমিন আদালতকে জানান, তার স্ত্রী রীমা অন্যত্র পরকীয়ায় সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। তাকে একাধিকবার বলেও কোন লাভ হয়নি, সে সম্পর্ক চালিয়েই যায়। ফলে ঘটনার দিন রাতে স্ত্রীর পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে তাকে কিল-ঘুষি ও পা দিয়ে পাড়ানোর পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। গত ২৯ মার্চ বিকালে কোতালেরবাগের বাড়িতে স্ত্রী রীমাকে হত্যা করে লাশের পাশে দেড় বছরের শিশু সন্তান নাহিদকে রেখে পালিয়ে যায় আল আমিন। ওই তিন মিন মৃত মায়ের আঙ্গুল চুষে বেঁচেছিল নাহিদ। ৩ দিন পর পচা দুর্গন্ধ ও শিশুর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে দেখেন শিশুটি তার মায়ের পাশে বসা। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে শিশুটিকে তার চাচী মাহিনুরের কাছে দেয়।
কোর্ট পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আসামী হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত রীমা (২২) পাবনা জেলা সদরের পশ্চিম সাধুপাড়া গ্রামের রুতাব শেখের মেয়ে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ রীমার স্বামী আল আমিনের বিরুদ্ধে রীমার মা জোসনা বেগমের মামলা গ্রহন করে। ৩ বছর পূর্বে প্রেম করে রীমা আল আমিনকে বিয়ে করে।
রীমার মা জোসনা বেগমের অভিযোগ, স্বামী শাশুড়ি ও ননদ মিলে রীমাকে হত্যা করেছে। গত কয়েক মাস ধরেই রীমার উপর চলমান অত্যাচারের ধারাবাহিকতায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার