শাহজাদপুর কাছারী বাড়িতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনেও ভক্তদের মিলনমেলা-কবির স্মৃতিময় জীবনের আলোচনা, নৃত্য-কবিতা আবৃত্তি ও সুরের মুর্ছনায় কবিগুরুকে স্মরণ করা হয়েছে। সমাপনী দিনে স্থানীয় ও দেশের নামকরা শিল্পীরা অনুষ্ঠানে গান-নৃত্য পরিবেশন করেন। শেষদিনেও ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত ছিল কাছারীবাড়ি।
বুধবার সকাল ১১টায় রবীন্দ্র অডিটোরিয়ামে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে কবির স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ কবিগুরুর ভক্তরা।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রীর কবিতা আবৃত্তি সকলকে মুগ্ধ করে। পরে স্থানীয় ও দেশের সুনামধন্য শিল্পীরা গান, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে আসা রবীন্দ্র ভক্তরা বলেন, রবীন্দ্রনাথ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রবীন্দ্রনাথের সকল সাহিত্য কর্মই তাদের উদ্বুদ্ধ করে।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জমান নূর বলেন, বাঙালি জাতির জীবন ও রাষ্ট্রীয় ধারা কি হওয়া উচিত-কেমন হওয়া উচিত কবিগুরুর সাহিত্যে তার নির্দেশনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুও তার আদর্শ ধারণ করেছিলেন। তাই প্রত্যেক মানুষকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে রবীন্দ্রনাথের আদর্শ বুকে লালন করতে হবে। পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ। রবীন্দ্র সাহিত্য চর্চায় নিজেদের বিকশিত করতে হবে। শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘসময় থেকেছেন। এখানকার মাটি ও মানুষের সাথে তার ছিল নিবিড় পরিচয়। শাহজাদপুরবাসীর প্রাণের দাবী ছিল তার নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শাহজাদপুরবাসীর স্বপ্ন পূরণ করেছেন। ইতোমধ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
আগামীতে রবীন্দ্র কাছারীর সৌন্দর্য্য ও শিক্ষণীয় পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে সকল কার্যক্রম করা হবে বলেও জানান সংস্কৃতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সাল থেকেই এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে। জঙ্গিবাদের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা ৭১ সালে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন চালিয়েছে। তারাই আবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। এখনও তারা সক্রিয় রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের আদর্শকে ধারণ করে জঙ্গিবাদ নির্মূলের আহ্বান জানান তারা।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান ও উপজলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হোসাইন খান।
বিডি প্রতিদিন/০৯ মে ২০১৮/এনায়েত করিম