আশুলিয়ায় ১৮টি গরু ভর্তি ট্রাক ছিনতাইকালে আশুলিয়া থানা সড়ক পরিবহণ লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া (২৬) ও তার সহযোগী জনি (২২) নামে দু'জনকে আটক করে পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কের বাইপাইল এলাকায় ১৮টি গরু ভর্তি ট্রাকটির গতিরোধ করে ১০/১২ জনের একটি ছিলতাইকারী দল। অস্ত্রের মুখে ট্রাক চালক, হেলপার ও ব্যবসায়ীকে জিম্মি ও মারধর করে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
একপর্যায়ে ট্রাক থেকে ১০টি গরু ছিনতাইকারীরা নামায়। এসময় ট্রাক চালক কৌশলে দৌড়ে বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশ বক্সে গিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ চালককে পাশ্ববর্তী থানায় জানাতে বলেন। চালক থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতে-নাতে দু'জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ট্রাক চালক কামাল হোসেন জানান, রংপুর থেকে ১৮টি গরু বোঝাই ট্রাক যোগে নারায়নগঞ্জ যাওয়ার পথে আশুলিয়া বাইপাইল ব্রিজ পার হওয়ার পর পরই ১০/১২ জন ছিনতাইকারী তার ট্রাকটির গতিরোধ করে আটকে দেয়। এসময় রাজা ও জনি নামের দুই ছিনতাইকারীরা তাদের কাছ থেকে ট্রাকের চাবি, গরুর চালান ও ১০ হাজার টাকা জোরপূর্বক লুটে নেয়। এছাড়া ট্রাকের মালিক আতিকের কাছে ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে দাবি করে ওই ছিনতাইকারিরা। এসময় জীবন বাঁচাতে ট্রাক চালক কামাল পালিয়ে এসে বাইপাইল ট্রাফিক বক্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে জানায়। সেখানে কোন সহযোগিতা না পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি অবিহিত করলে এসআই আব্দুস সালাম বাইপাইল এলকায় গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাজা ও তার সহযোগিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। আটককৃতদের কাছ থেকে গরুভর্তি ট্রাক, ,ট্রাকের চাবি ও ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসআই সালাম প্রথমে জব্দকৃত ট্রাক থেকে থানা এলাকায় গরু নামাতে শুরু করলেও রহস্যজনক কারনে ওই রাতেই গরুর ট্রাকটিসহ আটককৃতদের ছেড়ে দেন।
বাইপাইল এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, রাত দিন ২৪ ঘন্টাই বাইপাইল এলাকায় চুরি, ছিনতাই ,পকেটমাটমারসহ নানা ধরনের অপকর্ম ঘটে থাকে। তবে ঘটনার কোন প্রতিকার নেই। দিন দিন এ ধরনের অপরাধ প্রবনতা বেড়েই চলছে।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানান, ঘটনাটি ছিনতাইয়ের নয়, ভুল বোঝা-বুঝি। ট্রাকটি বাইপাইল ব্রিজ পার হলে চোরাই গরু ভেবে শ্রমিকেরা গাড়িটি আটক করে। গরুর চালান দেখতে চান। ট্রাক চালক গরু ক্রয়ের কোন চালান দেখাতে পারেনি, তাই একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে থানায় গরু ক্রয়ের চালান দেখালে ট্রাকটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে এসআই আব্দুস সালাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমি শুধু ধরে নিয়ে এসেছি আর কিছুই জানি না। তবে আটককৃতরা ওসি স্যারের জিম্মায় রয়েছেন। ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার