ময়মনসিংহের সদর ও ফুলপুর উপজেলার ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছিল সদরের বোররচর ইউনিয়নে খরিয়া নদীর উপর এই ডিগ্রিপাড়া ব্রিজ। পরে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম মো. ওয়ালিদ ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল ব্রিজটি উদ্বোধনের করেন। ব্রিজটির দুই পাশে মাটি ভরাট না থাকায় স্থানীয়রা এটি একদিনও ব্যবহার করতে পারেননি।
গ্রীষ্মকালে এর নিচ দিয়ে ও বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করে আসছিলেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির ৪ বছর পর সম্প্রতি কিছু মাটি ভরাট করে রিকশা ও ঠেলা গাড়ির মতো হালকা যানবাহনসহ চলাচলের জন্য ব্রিজটি উপযোগি করা হলেও সপ্তাহখানেক আগে ব্রহ্মপুত্রের ঢলের ধাক্কায় ব্রিজের পিলারের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় কাদা মাটির দালানের ন্যায় ভেঙে পানিতে লুটিয়ে পরে ব্রিজটি।
এ ব্রিজ দিয়ে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার বোররচর ইউনিয়নের ডিগ্রিপাড়া, বৈঠামারী, কুষ্টিয়াপাড়া, ডিয়ারচর, রেহাইতারাপুর, সেনেরচর, মৃর্ধাপাড়া, ও ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর, সিংগিমারী এবং চরনিয়ামত গ্রামের হাজারো মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ওইসব এলাকার মানুষের স্বপ্ন ছিল বড় ও মজবুত একটি ব্রিজ। যা দিয়ে তাদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত, উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য বহন, সময়মত জটিল ও কঠিন রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ ও ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত কষ্ট দূর হয়। কিন্তু ব্রিজটি এভাবে ভেঙে পরায় এখন নতুন করে আবার তারা চরম দুর্ভোগে পরেছেন।
জানা যায়, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ব্রিজটি নির্মাণের সময় ভবিষ্যতে এটি ধসে যাওয়ার আশংকা করে এলাকাবাসী অভিযোগ করে আসছিলেন। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগকে তোয়াক্কা না করে খুবই সরু ও হালকা এই ব্রিজটি নির্মাণ করায় এলাকাবাসীর কাঙ্খিত আশা পূরণ হয়নি।
বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মাস্টার বলেন, ব্রিজটি ভাইঙা যাওয়ার কারণে আমরা বিরাট ভোগান্তির মধ্যে পইরা গেছি।
বোররচর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শওকত আলী বুদু বলেন, ব্রিজটি অনেক আগেই বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও মানুষের যাতায়াত কষ্ট দেখে এর দু’পাশে মাটি ভরাট করে যাতায়াত উপযোগী করা হয়েছিল। কিন্তু দু:খজনক, আবার জনগণের কষ্ট বেড়ে গেল। বিষয়টি নিয়ে আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম আহমাদ অবিলম্বে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন।
বিডি প্রতিদিন/১১ জুন ২০১৮/হিমেল