ঝিনাইদহের মহেশপুরে 'আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় যার জমি আছে ঘর নেই তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ' শীর্ষক কর্মসূচির ঘরবাড়ি নির্মাণে উৎকোচ গ্রহণের সময় ৩৮ হাজার টাকাসহ ২ জন হাতেনাতে আটক হয়েছেন। আটকৃতরা হলেন- পৌর এলাকার জলিলপুর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে ইমান আলী (৪৫) ও নওদাগা গ্রামের মৃত হরিপদোর ছেলে গৌর চন্দ্র (৫০)।
জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মহেশপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে গৃহ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে- এই গৃহ নির্মাণকে কেন্দ্র করে পিআইও অফিসের নাম করে ঘরপ্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করা হচ্ছে। বুধবার দিবাগত রাত্রে মহেশপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশিদ খানের নেতৃত্বে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সময় ইমান আলী ও গৌরচন্দ্রকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করে। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানায় মেয়র বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি লস্কর জায়াদুল হক জানান, খবর পেয়ে রাতেই টাকাসহ ২ জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মেয়র আব্দুর রশিদ বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। যা মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে মহেশপুর মেয়র আব্দুর রশিদ খান বলেন, পৌরসভার মধ্যে ৪১টি ঘর নির্মানের কাজ চলছে যা পৌরসভার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। তারা জানতে পেরেছে এই ঘরগুলি নির্মাণে উপকারভোগীদের কাছ থেকে ১০-১৫ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এমন সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করে থানায় দেওয়া হয়।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক প্রেসব্রিফিং-এ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার(ভূমি) রোজিনা খাতুন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেরুননেছা উল্লেখ করেন, তাদের অফিসের কোন লোকজন এই টাকা নেওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট নেই। প্রকল্পের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এদিকে আটক ইমান আলী বলেন, সে পিআইও অফিসের মালামাল বহন করে। উক্ত অফিসের মনির হোসেনের কথামত যাদেরকে ঘর দেওয়া হয়েছে, তাদের কাছ থেকে ৩৮ হাজার টাকা আদায় করেছে। যা আজ দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই সে জনতার হাতে আটক হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার