সৌদি আরবে গত ৪ জুলাই প্রাণ হারানো সাত বাংলাদেশির মধ্যে লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের দুই সদস্যও রয়েছেন। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে। তাদের গ্রামের বাড়ি জেলার কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নে। তাদের বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম।
নিহত মো. আরিফ কমলনগর উপজেলার চর লরেঞ্চ এলাকার মৃত বদর আলমের ছেলে। আরিফের ভাগ্নে রুবেলের বাবার নাম মো. হারুন।
নিহতের স্বজনরা জানায়, গত দেড় বছর আগে আরিফ সৌদি আরবে যান। এর কয়েক মাস পর ভাগ্নে রুবেলও যান সৌদিতে। এর পর মামা-ভাগ্নে সৌদি আরবের আল হোলাইফা শহরে একই জায়গায় থেকে চাকরি করতেন। রুবেলের পিতা হারুনও একই বাসায় থাকতেন।
গত ৪ জুলাই ভোরে জেদ্দা শহরের নিকটবর্তী কিং আব্দুল আজীজ সড়কে মাইক্রোবাস উল্টে ৬ জন নিহত ও ১১ জন আহত হন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই লক্ষ্মীপুরের আরিফ মারা যান। আহত হয় তার ভাগ্নে রুবেল। সৌদির কিং ফাহাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেল মারা যায়।
নিহতদের মরদেহ দ্রুত ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্বজনরা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা