মুন্সীগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে ২ জেএমবি নেতা নিহত হয়েছে। এরা হলেন, মো: শামিম ওরফে কাকা ওরফে বোমা শামিম(৩৫) ও মো: এখলাছুর রহমান ওরফে এখলাছ(৩২)।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক সংলগ্ন শ্রীনগরের কেসি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা দুজনই বিশাকা প্রকাশনীর মালিক শাহাজান বাচ্চু হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল।
এ বিষয়ে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন কতিপয় জঙ্গি জেলার শ্রীনগর থানা এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। এ সংবাদের প্রেক্ষিতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক সংলগ্ন কেসি রোড এবং একই মহাসড়ক সংলগ্ন কালীকিশোর স্কুল রোডে চেক পোস্ট বসায়। এক পর্যায়ে রাত ১টার দিকে ২টি মোটরসাইকেলযোগে ৪জন আরোহীকে কেসি রোডস্থ চেক পোস্টের দিকে আসতে দেখে তাদেরকে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। এ সময় প্রথম মোটরসাইকেলে থাকা আরোহীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। এতে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। দীর্ঘ ১৫-১৬ মিনিট গুলি বিনিময় শেষে পুলিশ ২জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে।
তাৎক্ষনিক ভাবে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীনগর স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের এএসআই মাসুদ, এএসআই ইলিয়াস ও কনস্টেবল তানিতসহ ৩ পুলিশ আহত হয়। আহত ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রথমে শ্রীনগর স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তারা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১টি রেজিঃবিহীন কালো রংয়ের পালসার মোটরসাইকেল, ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ৩ রাউন্ড গুলি, ১১টি তাজা বোমা এবং ২টি ছোরা উদ্ধার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন